কে বলে জন্মান্ধ তুই
তোরও দুই চোখে
ছিলো আলো
স্বর্গের অমল জ্যোতি ছিলো।
চোখ মেলে তুইও অনায়াসে
আজীবন নীলাকাশ
বনভূমি
রুপালি নদীর স্রোত
মনোরম অন্ধকার রাতের জোনাকি
দেখে যেতে যেতে
জন্মের সমস্ত ঋণ শুধে যাবি
এই কথা ছিল।
অস্থানে ভূমিষ্ট তুই
পৃথিবীর আলো
তোকে স্পর্শ করার আগেই
তোর চোখে বানানো আন্ধার
তীক্ষ্ণ বল্লমের মত ছুঁড়ে দিয়েছিল যে দুর্জন
আমি তাকে চিনি।
না তুই জন্মান্ধ ন’স
বানোয়াট অন্ধতার বেড়া
এই ভ্রান্তি
ভুলে যা ভুলে যা
বুকের আগুনে ক্লান্ত করতল
নে জ্বালিয়ে নে রে।
জ্বলন্ত আঙুলে
বিদ্ধ কর দুই চোখ
দৃষ্টি ফিরে পাবি, তুই
মাথা তুলে দাঁড়া
দে তোর অমল দৃষ্টি মেলে দে ভুবনে।
দেখে নে শ্যামল বিভা বনানীর
বনরাজীনীলা
এই পৃথ্বী
নদী
নারী
শস্যমাঠ চিনে নে, এবং
তারও আগে শত্রু শিবির
মন্তব্য যোগ করুন:
কবিতাটি নিয়ে আপনার মন্তব্য জানান নিচের ফরমটির মাধ্যমে ।